গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়: উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার সহজ কৌশল

ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ফর্সাভাব ধরে রাখতে প্রাকৃতিক উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম। বাজারের কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্টের পরিবর্তে ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া এখন অনেকেরই প্রথম পছন্দ। 

ত্বক ফর্সা ও সতেজ রাখতে যে উপাদানটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়, সেটি হলো গোলাপ জল। নিয়মিত গোলাপ জল ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়।
গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়: উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার সহজ কৌশল
এই আর্টিকেলে আমরা জানব গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, ব্যবহার পদ্ধতি ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
,

গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় 

সেই প্রাচীনকাল থেকে গোলাপ জল রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। গোলাপ জল আমাদের ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। 

যার ফল আমাদের ত্বক ভালো থাকে এবং সুন্দর দেখা যায়। তাছাড়াও গোলাপ জল ব্যবহার করে ত্বকের কমলতা ফিরিয়ে আনা যায়। 

অবশ্যই পড়ুনঃ 
বিশেষ করে শীতকালে ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করতে গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। নিম্নে গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো তুলে ধরা হলো:
  • প্রথমে আপনারা অ্যালোভেরা গাছের পাতা থেকে এলোভেরা জেল বের করে নিয়ে তার সাথে সামান্য পরিমাণ গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার মিশ্রণটি আপনার ত্বকে বা মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের কমলতা ফিরে আসবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
  • তাছাড়াও প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে গোলাপ জল ভালো কাজ করে। তাই আপনারা চাইলে প্রতিদিন নিয়মিত গোলাপজল সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বক অনেকটা পরিষ্কার হবে এবং ফর্সা হতে শুরু করবে।
  • আপনারা অনেকে কাজের জন্য বাইরে গিয়ে থাকেন ,যার ফলে বাইরের রোদে আপনার ত্বক পুড়ে যায় এজন্য সানস্ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। তবে এই সানস্ক্রিম তৈলাক্ত ভাব হওয়ায় মুখে অস্বস্তি হয়ে থাকে। এজন্য আপনারা সানস্ক্রিম এর সাথে গোলাপজল মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
  • এছাড়াও আপনারা প্রতিদিন মুখ পরিষ্কারভাবে ধোয়ার পর গোলাপজল মুখের উপর স্প্রে করতে পারেন। এতে করে আপনার মুখের উজ্জ্বল ভাব ফুটে উঠবে এবং আপনি ফর্সা হতে শুরু করবেন।
  • আপনারা চাইলে মুখ পরিষ্কার ও রোগ মুক্ত রাখতে, মুখ বা ত্বক ধোয়ার পর তুলা গোলাপ জলে ভিজিয়ে মুখ ও ত্বক মুছে নিতে পারেন। এটি অনেকটা টোনারের মতো কাজ করে এবং ত্বকের পরিচর্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • তাছাড়া আপনারা ত্বকের মলিন ভাব ও শুষ্কতা কমাতে গোলাপজলের সাথে সামান্য ২ চা চামচ পরিমাণ গ্লিসারিন মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বকের শুষ্কতা ভাব দূর করতে পারবেন। বিশেষ করে শীতের সময় ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখা যায়।
গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানতে পারলেন। উক্ত উপায় গুলো আপনারা প্রতিদিন সঠিকভাবে মেনে চললে গোলাপজল ব্যবহার করে অতি সহজেই ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক গড়ে তুলতে পারবেন।

গোলাপ জল কী এবং এটি কেন ত্বকের জন্য উপকারী?

গোলাপের পাপড়ি থেকে তৈরি গোলাপ জল একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ, যা ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।গোলাপ জলের উপকারিতা:
  • ত্বকের ময়লা ও অতিরিক্ত তেল দূর করে
  • ত্বকের রঙ সমান করে
  • ব্রণ ও দাগ হালকা করতে সহায়তা করে
  • ত্বককে ঠান্ডা ও সতেজ রাখে
  • গোলাপ জল ব্যবহার করার ফলে ত্বকে ও মুখে বয়সের ছাপ দূর করা যায়।
  • ত্বকের পরিচর্যা সঠিক পিএইচ মান বজায় রাখা যায়।
  • গোলাপ জল ব্যবহার করে আপনি উজ্জ্বল ও ফর্সা হতে পারবেন।
  • ত্বকের তৈলাক্ত ভাব ও শুষ্কতা ভাব দূর করা যায়।
  • তাছাড়াও ত্বকের আর্দ্রতা ভাব বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • গোলাপ জল ত্বকের প্রদাহ ও ক্ষত দূর করতে পারে।
  • ত্বকের বা মুখের ব্রণ দূর করতে গোলাপজল অধিক কার্যকরী।
  • তাছাড়াও ত্বকের লাল লাল ভাব দূর করতে পারে।
  • চোখের নিচে ডার্কসার্কেল দূর করতে বেশ কার্যকরী।
  • এছাড়াও শীতকালে ত্বকের মশ্চারাইজার হিসাবে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।
  • ত্বকের মসৃণ ও উজ্জলতা ফিরিয়ে আনার জন্য গোলাপ জল ভালো কাজ করে।

গোলাপ জল ব্যবহার করার নিয়ম ও উপায়

আপনারা বিভিন্নভাবে গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপ জল ব্যবহার করার ফলে আপনারা ত্বকের পিএইচ মান ঠিক রাখতে পারেন। গোলাপ জল আপনারা সরাসরি মুখে স্প্রে করে ব্যবহার করতে পারেন। 

তাছাড়া বিভিন্ন উপাদানের সাথে মিশিয়ে গুণগতমান বাড়িয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তবে তাদের উজ্জলতা ও ফর্সা হওয়ার জন্য বিশেষ ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে নিবেন। 

এরপর ১ চা চামচ চালের গুড়া ও ৩ চা চামচ গোলাপ জল নিয়ে একসাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। আপনারা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল , চালের গুড়া ও গোলাপ জল একত্রে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করবেন। 

ফেসপ্যাকটি আপনারা সকালে অথবা দিনের যেকোনো সময়ে ব্যবহার করতে পারেন। ফেসপ্যাক এর মিশ্রণটি আপনি তুলো ব্যবহার করে মুখের ওপর লাগিয়ে নিতে পারেন। 

ফেসপ্যাক কমপক্ষে মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন , এরপর শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। 

এভাবে আপনি যদি ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের কালো দাগ ও ব্রণ দূর হয়ে যাবে। তাছাড়াও তাকে উজ্জ্বল ভাব বেড়ে যাবে এবং ত্বক ফর্সা হতে থাকবে।

মুখ ও ত্বকের ব্ল্যাকহেডস দূর করার জন্য গোলাপজল

আমার অনেক সময় সঠিকভাবে ত্বকের যত না নেওয়ার ফলে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল অথবা মুখে , নাকে ব্ল্যাকহেডস দেখা যায়। 

এর ফলে আপনারা বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন ব্ল্যাক হেডস দূর করার জন্য, যেগুলো বেশিরভাগ তেমনভাবে কাজ করে না। 

তবে আপনি চাইলে প্রাকৃতিকভাবে গোলাপজল ব্যবহার করে চোখে নিচে ডার্ক সার্কেল ও নাকে ব্ল্যাকহেডস দূর করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম অনুযায়ী ফেসপ্যাক বা পেস্ট তৈরি করতে হবে।

প্রথমে আপনি অ্যালোভেরা জেল নিবেন ২ চা চামচ। এরপর ১ চামচ মধু ও ২ টেবিল চামচ গোলাপজল নিয়ে একত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
 
এবার মিশ্রণটি ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে ত্বকে ও মুখে ব্যবহার করুন। মুখে আলতোভাবে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন এবং কমপক্ষে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে দিন। 

এরপর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকে যে স্থানে কালো দাগ বেশি রয়েছে সেখানে বেশি করে লাগিয়ে রাখুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের কালো দাগ ও চোখের নিচে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।

ত্বক পরিষ্কার করার জন্য গোলাপ জল ব্যবহার

আপনারা চাইলে ত্বক পরিষ্কার করার জন্য গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে আমাদের সকলেরই একটি সাধারণ সমস্যা হল মুখের বা ত্বকের উপরে দাগ পড়া। 

যার ফলে আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় , বিশেষ করে ত্বকে ও মুখে দাগ পড়লে উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। এই ত্বকের দাগ দূর করতে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াশ ও ক্রিম ব্যবহার করে থাকি। 

এই ক্রিমগুলো ও ফেসওয়াশগুলো ব্যবহার করার ফলে অনেক সময় দাগ দূর হয় তবে বেশিরভাগ সময়ই ত্বকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

কারণে এসব ক্রিমে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় যেগুলো আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। আপনারা চাইলে এসব ব্যবহার না করে গোলাপ জল মুখে বা ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। 

কারণ গোলাপজলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদানসহ অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ভাব বাড়াতে পারে এবং ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করতে পারে। 

আপনি যদি কোন ঝামেলা ছাড়াই ত্বকের আদ্রতা বজায় রেখে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করতে চান তাহলে নিয়মিত গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। 

তাই আপনারা প্রতিদিন সকালে ও বিকালে গোলাপজল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। তাছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে গোলাপ জল ব্যবহার করে মুখ পরিষ্কার করে ঘুমাতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বকের অপ্রয়োজনীয় ডার্কস্পট দূর হয়ে যাবে এবং ত্বক ফ্রেশ থাকবে।

ব্রণ দূর করতে গোলাপ জল ব্যবহার করার নিয়ম

আমাদের অনেক সময় মুখে ব্রণ দেখা যায়। এই ব্রণ দূর করতে আপনারা গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারবেন। গোলাপ জল ব্যবহার করে অতি সহজেই মুখের ব্রণ দূর করা যায়। এর জন্য আপনার কিছু নিয়ম ও উপায় মেনে চলতে হবে।
  • আপনারা চাইলে লেবুর সাথে সামান্য পরিমাণ গোলাপ জল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখা উচিত লেবুতে রয়েছে সাইটিক অ্যাসিড যা অনেকের ত্বকে এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য আপনাদের সামান্য পরিমাণ লেবুর রস গোলাপের সাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার মুখের ব্রণ দূর হয়ে যাবে।
  • তাছাড়া আপনার ব্রণ দূর করতে মুলতানি মাটির সাথে গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনি অল্প পরিমাণ এক চা চামচ মুলতানি মাটির সাথে সামান্য পরিমাণ গোলাপ জল মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরী করে নিন এবং এটি মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ব্যবহার করুন।
  • কমলালেবুর খোসার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে কমলা লেবুর খোসা গুড়ো করে নিতে হবে। কমলার খোসা গুড়া করার জন্য ব্যালেন্ডার ব্যবহার করতে পারেন। এর পরের সাথে দুই চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে ব্যবহার করুন এবং মুখে কমপক্ষে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন। এতে করে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে এবং ব্রণ অনেকটা কমে আসবে।
  • এছাড়াও আপনারা চন্দনের কাঠের গুড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত নয়। সামান্য পরিমাণ চন্দন কাঠের গুড়া এবং গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে ব্যবহার করতে পারেন।

ঘরে বসে গোলাপ জল বানানোর নিয়ম

আমাদের মধ্যে অনেকেই ঘরে বসে গোলাপ জল তৈরি করতে চান। তাদের জন্য আমরা এখন গোলাপ জল বানানোর নিয়ম জানাবো।
  • প্রথমে আপনার ভালো মানের কিছু গোলাপ দরকার হবে। এর জন্য আপনি বাজার থেকে গোলাপ কিনে নিয়ে আসতে পারেন। তবে বাজার থেকে নেওয়া আসা গোলাপ ভালোভাবে ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া নিজের গাছের গোলাপ ব্যবহার করতে পারেন।
  • এরপর আপনাদের তাপ নিরোধোক কাঁচের পাত্রে গোলাপের পাপড়ি গুলো রাখতে হবে। কাঁচের পাত্রে সামান্য কিছু পরিমাণ হালকা গরম পানি দিতে হবে এবং কাঁচের পাত্র ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
  • এভাবে আপনি কাঁচের পাত্রে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে এক ঘন্টা ঢেকে রাখুন। তাহলে আপনার তৈরি হয়ে গেল ঘরে বসে গোলাপজল। এরপর আপনি এই গোলাপ জল ফ্রিজে বোতলে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
  • তবে আপনার গোলাপজলে যেহেতু প্রিজারভেটিভ দেওয়া নেই , তাই সেহেতু আপনি এটি ১০ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। দশ দিনের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো কারণ তখন গোলাপ জল তার গুনাগুন হারিয়ে ফেলে। এর ফলে এটি ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

গোলাপ জল মুখে কিভাবে ব্যবহার করব

মুখে আপনারা গোলাপ জল বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন। যেগুলো আমরা গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় অংশে ভালোভাবে আলোচনা করেছি। 

তবে আরেকবার বলে রাখছি গোলাপজল আপনারা মুখে সরাসরি স্প্রে করে অথবা ফেসপ্যাক তৈরির মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যবহার করবেন না। 

আর যে কোন কিছু উপাদানের সাথে মিশিয়ে গোলাপ জল ব্যবহার করবেন না। একমাত্র সঠিক উপাদানের সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে ভালো উপকার পাবেন।

গোলাপ জলের দাম কত

বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির গোলাপ জল পাওয়া যায়। কোম্পানি অনুযায়ী দামের পরিবর্তন হয়ে থাকে। তবে আনুমানিকভাবে গোলাপ জলের দাম ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। 

তবে আপনি যদি উন্নত মানের গোলাপ জল নিতে চান তাহলে তার দাম পড়বে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মত। এর থেকে বলা যায় সাধারণভাবে গোলাপ জলের দাম সাধারণত ১২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।

উপসংহারঃ গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল রাখতে গোলাপ জল একটি নিরাপদ ও কার্যকর উপাদান। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই নিয়মিত গোলাপ জল ব্যবহার করলে ত্বক হবে পরিষ্কার, নরম ও প্রাণবন্ত। তাই কেমিক্যাল প্রোডাক্টের পরিবর্তে আজ থেকেই গোলাপ জল দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url