প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন গ্যারান্টিসহ সেরা ২০টি উপায়ে


সেরা উপায়ে ঘরে বসেই প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন। সপ্তাহে ৪০০০ টাকা ইনকাম করা কিন্তু কঠিন বিষয় নয়, সঠিক পরিশ্রম ও বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করলেই প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করা যাবে। প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত কিভাবে আয় করবেন সম্পর্কে পুরো আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন গ্যারান্টিসহ সেরা ২৩টি উপায়ে
আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা স্টুডেন্ট তারা কিন্তু চাইলে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করতে পারেন। 

সঠিক গাইডলাইন জানলে ইনকাম করা সম্ভব হবে। এমন অনেকেই আছে যারা অনলাইনে সারাক্ষণ কাজ করে থাকে কিন্তু ইনকাম করতে পারে না। এর অন্যতম কারণ হলো তারা হয়তো সঠিক গাইডলাইন ও উপায় গুলো জানে না।

যার কারণে তারা আয় করতে পারে না। তবে আমরা আপনাদের সাথে আজকের আর্টিকেলে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করার সঠিক গাইডলাইন ও উপায় গুলো আলোচনা করব। তাই সকলেই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন।

কেন অনলাইন ইনকাম করবেন

অনলাইনে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এখানে কেউ আপনাকে বাধা দিতে আসবে না। আপনি যেকোনো সময় কাজ করতে পারবেন। কেন অনলাইনে ইনকাম করবেন তার কয়েকটি কারণ দেখানো হলোঃ
  • অনলাইনে ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ থাকে। 
  • নিজের ইচ্ছামতো কাজ করা যায়।
  • বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইনে ইনকাম করার অনেক সুযোগ আছে।
  • একাধিক উপায়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব।

প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন

সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা অনলাইনে পার্ট টাইম ইনকাম করলে অনেকেরই জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। আপনি চাকরির পাশাপাশি সামান্য একটু সময় ব্যয় করে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে প্রতি সপ্তায় ৪ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারেন। এতে করে আপনি প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করে পকেট খরচ চালাতে পারবেন। 

এছাড়া যারা স্টুডেন্ট আছেন তারা পকেট খরচ চালানোর জন্য হলেও সপ্তাহে ৪০০০ টাকায় ইনকাম করার চেষ্টা করতে পারেন। তবে চেষ্টা করার জন্য অবশ্যই সঠিক উপায় জানা জরুরী। আমরা এখন আপনাদের মাঝে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা আয় করার সেরা উপায়গুলো তুলে ধরব। 

সেরা ২০টি উপায়ে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুনঃ  
  • বাংলা বা ইংরেজি কন্টেন্ট রাইটিং
  • কোমল পানীয় দোকান
  • পশুপাখি পালন
  • ফেসবুক পেজ
  • অনলাইন কোর্স
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
  • অনলাইন ব্যবসা
  • অনলাইন সার্ভে 
  • শিক্ষকতা করে
  • আউটসোর্সিং করা
  • ইউটিউব চ্যানেল
  • ফটোগ্রাফি করে
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন
  • টিকটক ভিডিও
  • ওয়েবসাইট তৈরি
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ফেসবুক রিলস
  • মোবাইল সার্ভিসিং দোকান
  • ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা
  • ওয়েবসাইট এসইও
  • ডাটা এন্ট্রি
  • কপিরাইটিং
  • অ্যানিমেশন তৈরি করা
  • রিসেলিং ব্যবসা
  • Instagram একাউন্ট খুলে আয়
  • ফুলের দোকান
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • ভিডিও এডিটিং
  • ট্রানসলেশন সেবা

কন্টেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং করে প্রতি সপ্তাহে আয়

কন্টেন্ট রাইটিং এখন ঘরে বসে আয়ের অন্যতম জনপ্রিয় পেশা। আপনি যদি ভালোভাবে লিখতে পারেন এবং ভাষা নিয়ে দক্ষতা থাকে, তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বা ক্লায়েন্টের জন্য আর্টিকেল লিখে প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় করা সম্ভব। শুরুতে ছোট প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করুন, পরে ধীরে ধীরে বড় অর্ডার নিন।

আজকাল অনেক কোম্পানি তাদের ব্লগ ও ওয়েবসাইটের জন্য নিয়মিত লেখক খুঁজছে। আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন। প্রতি সপ্তাহে ২-৩টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেই আপনি ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে শুরু করবেনঃ
  • নিজের ব্লগিং সাইট থেকে আয় করতে চাইলে প্রথমে ব্লগিং সাইট তৈরি করুন। 
  • আপনি যেহেতু কনটেন্ট রাইটিং জানেন সেক্ষেত্রে নিজের সাইটে লেখালেখি করে আয় করার চেষ্টা করুন। 
  • নিয়মিত ব্লগিং সাইটে কনটেন্ট লিখে পাবলিশ করুন। কনটেন্ট গুলো অবশ্যই এসইও সম্পূর্ণ ইউনিক হতে হবে।
  • দীর্ঘদিন ব্লগিং সাইটে কাজ করার পর গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারেন।
  • গুগল এডসেন্স অনুমোদন পেলেই আপনি বিজ্ঞাপন দেখে আয় করতে পারবেন।
  • এছাড়াও আপনারা চাইলে কনটেন্ট লিখে সেগুলো অন্য ওয়েবসাইটে বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
  • প্রতি ১০০০ থেকে ১৫০০ শব্দের কনটেন্ট আপনি ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
  • ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ইংলিশ কনটেন্ট লিখে আয় করা যায়, তাই ইংলিশ কন্টেন্ট লিখে বিক্রয় করুন।
অনেক সাইট আছে যারা কন্টেন্ট রাইটিং জব প্রদান করে, যেমনঃ অর্ডিনারি আইটি ,ট্রিকবিডি ,টেকটিউন্স ,লেখক.মি। তাদের সাথে যোগাযোগ করুন আর কনটেন্ট রাইটিং করে আয় করুন। যদি অনলাইন থেকে সহজ উপায়ে আয় করতে চান, তাহলে সকলকে বলবো কনটেন্ট রাইটিং করে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন। 

কোমল পানীয় দোকান থেকে ইনকাম

আপনি বর্তমানে বাজারে অথবা জনসমাগম এলাকাগুলোতে কমল পানীয় বা সফট ড্রিংস এর দোকান দিয়ে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকার বেশি আয় করতে পারেন। বিশেষ করে গরমকালে এই ব্যবসাটি খুবই চলে। 

প্রচন্ড গরমে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং কোমল পানীয় পান করতে চাই। এই সুযোগ নিয়ে আপনি বাজারে অথবা জনসমাগম স্থানগুলোতে কমল পানির দোকান দিতে পারেন। 

আর কোমল পানি বা সফট ড্রিঙ্কস ঠান্ডা হতে হবে, এজন্য বরফ ব্যবহার করুন। এতে করে প্রচুর কোমল পানীয় বিক্রি করতে পারবেন। যা থেকে আপনার প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকার বেশি উপার্জন হবে। 

যেভাবে শুরু করবেনঃ
  • প্রথমত কোমল পানীয় দোকান দেওয়ার জন্য বাজারে একটি ছোট দোকান ভাড়া নিন।
  • এছাড়াও চাইলে ভাসমান দোকান খুলতে পারেন, এই দোকান মূলত স্থানান্তর করা যায়। 
  • দোকান খুলে অবশ্যই সকল ধরনের কোমল পানীয় তৈরীর উপাদান মজুদ রাখবেন।
  • এভাবে দোকান খুলে আকর্ষণীয় কোমল পানি তৈরি করে বিক্রয় করুন।
  • তাহলে নিশ্চয়ই প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।

পশুপাখি পালন করে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা ইনকাম

আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকার বেশি ইনকাম করতে চান, সেক্ষেত্রে আমি বলব পশুপাখি পালন করা শুরু করুন। বিশেষ করে মুরগির খামার গড়ে তুলুন। মুরগির খামার থেকে প্রচুর লাভ করা যায়। আর বর্তমানে বাজারে মুরগির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। 

বিশেষ করে সোনালি মুরগির অনেক চাহিদা থাকে। এজন্য আপনি বিভিন্ন জাতের মুরগি খামারে লালন পালন করে বিক্রি করার চেষ্টা করুন। যদি উন্নত মানের মুরগি পালন করতে পারেন তাহলে সেগুলো বিক্রি করে প্রচুর ইনকাম করা সম্ভব। 

এই উপায়েও বর্তমানে গ্রাম গঞ্জের মানুষগুলো প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। তবে আপনারা যারা শহরে রয়েছেন তারাও নির্দিষ্ট জায়গা ভাড়া নিয়ে পশুপাখির খামার গড়ে তুলতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে গরু ছাগল ইত্যাদি লালন পালন করতে পারেন। 

তবে গরু ছাগল পালন করলে প্রতি সপ্তাহে ইনকাম সম্ভব নয়, এক্ষেত্রে আপনার প্রতি বছরে ইনকাম হবে। যা প্রায় লক্ষ টাকার কাছাকাছি। 

মোবাইল সার্ভিসিং দোকান দিয়ে ইনকাম

বর্তমান যুগে মোবাইল ছাড়া জীবন কল্পনাই করা যায় না। প্রতিটি মানুষই এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করে, আর সেই ফোনে নানান সময় ছোট-বড় সমস্যা দেখা দেয়। এখানেই সুযোগ তৈরি হয় মোবাইল সার্ভিসিং দোকান দিয়ে ইনকাম করার।

বাংলাদেশে এখন এমন হাজার হাজার যুবক আছেন যারা মোবাইল রিপেয়ারিং ব্যবসা করে প্রতি মাসে ২৫,০০০–৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা শুরু করতে যা লাগবেঃ
  • স্ক্রু ড্রাইভার সেট
  • মাল্টিমিটার
  • সোল্ডারিং আয়রন ও ব্লোয়ার মেশিন
  • ডিসপ্লে ওপেনার, গ্লু রিমুভার
  • মোবাইল সফটওয়্যার টুলস ও কম্পিউটার
  • রিপেয়ারিং টেবিল ও চেয়ার
প্রাথমিক বিনিয়োগঃ প্রায় ৩০,০০০–৬০,০০০ টাকা দিয়ে একটি ছোট সার্ভিসিং দোকান শুরু করা যায়।

ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা উপার্জন 

আপনার বাড়ির আশেপাশে অথবা বাজারে ছোট একটি দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশ ক্যাশ ইন ক্যাশ আউট ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। কারণ বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই বিকাশের মাধ্যমে অনলাইন লেনদেন করে থাকে। 

সেজন্য আপনি ফেক্সিলোডের দোকানে মোবাইল রিসার্চ সহ, বিকাশ ক্যাশ ইন ক্যাশ আউট সার্ভিস চালু রাখবেন। যারা মোবাইল রিচার্জ করবে, তাদেরকে মোবাইল রিচার্জ করে দিবেন। 

পাশাপাশি বিকাশ ও নগদের সার্ভিস গুলো চালু রাখুন এতে করে এক্সটা ইনকাম করা যায়। আর এই উপায়ে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন। 

ফেসবুক পেজ থেকে আয়

এই আধুনিক যুগে ফেসবুকে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা ছাড়াও বিনোদন নেওয়ার সাথে সাথে ইনকাম পর্যন্ত করা যায়। হ্যাঁ বন্ধুরা আপনি ফেসবুক পেজ খুলেই বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও কনটেন্ট আপলোড করেই মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। 

ফেসবুক মনিটাইজেশন পাওয়া খুবই সহজ। আপনারা সরাসরি ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে ভিডিও আপলোড করবেন এবং মনিটাইজেশন সেটআপ করবেন। 

ফেসবুক মনিটাইজেশন পাওয়ার নির্দিষ্ট শর্ত রয়েছে, সেগুলো পূরণ করলেই সরাসরি মনিটাইজেশন পাওয়া যায়। আর ফেসবুকে পেজে আপনি একবার মনিটাইজেশন পেলেই সেখানে আপনি রেগুলার ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন। 

এজন্য প্রথমেই একটি ফেসবুক পেজ খুলুন, আর সেখানে আপনার পছন্দমত ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে থাকুন। এগুলোর ভিডিও আপলোড করলে দ্রুত মনিটাইজেশন পাওয়া যায়। আর এভাবে মনিটাইজেশন নিয়ে খুব সহজেই প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন। 

অনলাইন কোর্স করিয়ে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন

আপনারা কি জানেন এখন অনলাইনে কোর্স করিও প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। এক্ষেত্রে আপনি নিজস্ব কোন দক্ষতা বা কোন সাবজেক্ট বিষয়ে পারদর্শিতা থাকতে হবে। তাহলে আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের কোর্স করিয়া ইনকাম করতে পারেন। 

কোর্স বিক্রি করে সহজেই চার হাজার টাকার বেশি আয় করা যাবে। তবে আপনার কোর্স হতে হবে আকর্ষণীয় এবং প্রিমিয়াম। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোর্সগুলো খুব বিক্রি হয়ে থাকে। 

যদি আপনার ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকে সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়গুলো নিয়ে আকর্ষণীয় ভিডিও কোর্স তৈরি করতে পারেন। আর এগুলো বিক্রি করলে প্রতি সপ্তাহে অনায়াসেই চার হাজার টাকার বেশি আয় করা যাবে, যা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। 

যেভাবে শুরু করবেনঃ
  • আপনার প্রথম কাজ হলো একটি ফেসবুক পেজ খোলা।
  • সুন্দর আকর্ষণীয় নাম দিয়ে ফেসবুক পেজ খুলুন।
  • এবার আপনার কোর্স সম্পর্কে জানিয়ে ফেসবুক পেজে কিছু পোস্ট করুন।
  • এছাড়া আরো ভালোভাবে মার্কেটিং করার জন্য কোর্সের কিছু আকর্ষণীয় ভিডিও আপলোড করুন।
  • এভাবে স্টুডেন্টদের আকর্ষণ করা যায়। অবশ্যই কোর্সের টেইলার ভিডিও আকর্ষণীয় হতে হবে।
  • ভালোভাবে মার্কেটিং করতে পারলে কোর্স করিয়ে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব, তাই মার্কেটিং বা কোর্সের প্রচার করতে থাকুন।
এভাবে অনলাইনে কোর্স করিয়ে অনেক টাকা উপার্জন করা যেতে পারে, যদি আপনি সঠিকভাবে অনলাইনে কোর্সের মার্কেটিং করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস দিয়ে ইনকাম

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানেন এবং দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে অনলাইন থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বর্তমানে ব্যবসা করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজন হয়। 
আরো পড়ুনঃ
এজন্য সকল ব্যবসায়ীরাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্য নিয়ে থাকে। আপনি তাদেরকে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস দিয়ে প্রতি সপ্তাহে চার থেকে দশ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দেওয়ার জন্য ফেসবুকে পেজ খুলুন অথবা ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করুন।

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম প্রচুর গ্রাহক পাবেন যারা ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস নিবে। আর এখান থেকে আপনি অনায়াসে অনলাইনে ঘরে বসে ব্যাপক পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। 

ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয়

যদি সহজ উপায়ে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা আয় করার ইচ্ছা থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি youtube চ্যানেল খোলার কথা চিন্তা করতে পারেন। কারণ ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে ভিডিও আপলোড করলেই প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকার বেশি আয় করা সম্ভব হয়। 

সামান্য আপনি একটি ভিডিও আপলোড করেই 40 থেকে 50 ডলার ইনকাম করতে পারবেন। তবে ইনকাম অনেকটা নির্ভর করে আপনার ভিডিওর ভিউজ এর উপর। 

প্রথম দিকে হয়তো youtube চ্যানেলে কম ভিউস আসবে, তবে ধীরে ধীরে চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বাড়তে থাকলে প্রচুর ভিউজ পাবেন। যা থেকে আপনি প্রতি সপ্তাহে ১০০ থেকে ২০০ ডলার তার বেশি আয় করতে পারবেন। 

ফটোগ্রাফি করে টাকা আয়

ছবি তুলতে ভালোবাসেন, সে ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল দিয়েই ছবি তুলে সেগুলো বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করে ইনকাম করা শুরু করুন। বর্তমানে ছবি বিক্রি করে আয় করার জন্য প্রচুর সাইট রয়েছে, যেগুলোতে আকর্ষণীয় ছবি বিক্রি করে প্রতিদিন দুই থেকে তিন ডলার বা তার বেশি ইনকাম করা যায়। 

আপনার যদি ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগে তাহলে এই উপায়ে আপনি 4000 টাকার বেশি প্রতি সপ্তাহে আয় করতে পারবেন। যারা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হয়েছেন, তারা চাইলে এই উপায়টি অনুসরণ করে ঘরে বসেই প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারেন। 

প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করার সহজ উপায়

প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা আয় করার অনেকগুলো উপায় আছে। এর মধ্যে আমরা কয়েকটি কার্যকর উপায় গুলো আলোচনা করব। যেগুলো সহজে করে ইনকাম করা যায় এবং দ্রুত সময়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। নিম্নে উপায় গুলো বিস্তারিত জেনে নিন।

অনলাইন ট্রেডিংঃ যদি কম সময়ে খুব বেশি টাকা আয় করতে চান তাহলে এই উপায়টি অনুসরণ করতে পারেন। তবে যারা এই উপায়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না তারা কখনোই ইনকাম করবেন না। কারণ এই উপায়ে অনেকটা রিস্ক থাকে। 

অনলাইন ট্রেডিং এমন একটি মাধ্যম যেখানে আপনি কয়েন কেনাবেচা করে আয় করতে পারবেন।তবে এই বিষয়ে অনেক দক্ষতা থাকতে হয় তাহলে ইনকাম করা সম্ভব হয়। যদি আপনি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলেই ফরেক্স ট্রেডিং অথবা অনলাইন ট্রেডিং করে আয় করার চেষ্টা করুন। 

পুরাতন জিনিস ক্রয় বিক্রয়ঃ পুরাতন জিনিসপত্র ক্রয় বিক্রয় ব্যবসাটি অনেক জনপ্রিয়। যদি আপনি সঠিকভাবে এই ব্যবসাটি করতে পারেন তাহলে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা বেশি আয় করতে পারবেন। কারণ পুরাতন জিনিসপত্রের চাহিদা বর্তমানে খুবই বেশি। 

আপনি কম দামে পুরাতন জিনিসপত্র ক্রয় করুন এবং হালকাভাবে বিক্রয় করে দিন। এভাবে দেখবেন দিন শেষে আপনার এক হাজার টাকার বেশি ইনকাম হচ্ছে। আর সপ্তাহে সহজে ৪০০০ টাকা উপার্জন।
 
অনলাইন ডেলিভারিঃ অনলাইন ডেলিভারি সার্ভিস দিয়ে কিন্তু প্রতি সপ্তাহের চার হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। বিভিন্ন ধরনের ডেলিভারি কাজ রয়েছে যেমনঃ খাবার ডেলিভারি , প্রোডাক্ট ডেলিভারি , আসবার পত্র ডেলিভারি , বই ডেলিভারি ইত্যাদি। 

খাবার ডেলিভারি কাজ করেই আপনি প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে ফুডপান্ডা প্রতিষ্ঠান খাবার ডেলিভারির কাজ দিয়ে থাকে। তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে কাজের জন্য আবেদন করুন, আর প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা আয় করুন। 

প্রতি সপ্তাহে টাকা আয় করার মোবাইল apps 

প্রতি সপ্তায় টাকা ইনকাম করার কয়েকটি অ্যাপ এখন তুলে ধরা হবে। যেখানে আপনি অ্যাপ গুলো ইন্সটল করে প্রতি সপ্তাহে টাকা উপার্জন করতে পারেন। অ্যাপগুলো হলোঃ
  • Uber Driver App
  • Cash app
  • Bikroy app
  • Food panda apps
  • Daraz apps
  • Amazon apps
  • instragram
  • Facebook
  • Pocket Money Apps
  • Bkash Apps
  • upwork
  • My Point Apps
  • Shop Up Reseller App

উপসংহার

আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক সহজ উপায়ে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন। কারণ আমরা অনেক সহজ ও কার্যকরী উপায় তুলে ধরেছি যেগুলো জানলে আপনি প্রতি সপ্তাহে আয় করতে পারবেন। 

প্রতিটি উপায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, যাতে করে আপনি সকল কিছু বুঝে আয় করতে পারেন।অনলাইন থেকে আয় করার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়, আপনি মানসিকভাবে পরিশ্রম করে ধৈর্য ধরে কাজ করুন নিশ্চয় আয় করতে পারবেন।   

পরবর্তী পোস্ট
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url